Tuesday, June 29, 2010

Rainy Days Poem

Rainy Days
by Frogeeeee

I love the rain in our lives
It reminds me of the times that are special
The times that we take just for ourselves
The times for just you and me and the rain

The gentle rains are the times for our walks
To feel the wetness against our skin, walking together
To laugh and splash like children in the puddles
To kiss and embrace in the sweetness of the rain

The thunderstorms are the times for cozy fires
Resting in my arms and feeling the warmth of desire
Feeling the security of being lost in my love
Listening to the pounding of the rain and our hearts

The lighting flashes across the dark skies
It lights up the room and highlights your smile
You bring a glow to both my heart and my life
Those brief interludes of light illuminate your love

As the thunder outside rumbles ever so near
It is like the love inside me that yearns so near
Building and growing stronger each day
Till like the crash of the thunder, my passion explodes

I love the rain that falls in our lives
I love the feelings that each storm provides
You and I live for each storm that comes by
Oh, my dear, the rain says I love you all over again

Sunday, June 27, 2010

Computer Parts Market Price, Dhaka, Bangladesh





« আগের সংবাদ
বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য টিভিকার্ড ও মিনিটরের বিক্রি বেড়েছে কম্পিউটার বাজারে। তাই টিভি কার্ড ও মনিটরের দাম তুলনামূলক বেড়েছে। এছাড়া দু’একটা যন্ত্রাংশের দাম পরিবর্তন হয়েছে। বাকি সব যন্ত্রাংশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে জানায় বিক্রেতারা। গতকাল শনিবার পাওয়া বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম নিচে দেওয়া হলো:
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই ৭ (২.৮ গি.হা.) ২৩৫০০ টাকা, ইন্টেল কোর আই ৫ (২.৬৬ গি.হা.) ১৬০০০ টাকা, ইন্টেল কিউ ৯৫০৫ (২.৮৩ গি.হা.) ১৭৫০০ টাকা, ইন্টেল সেলেরন ১.৮ গি.হা. ৩০০০ টাকা। ইন্টেল কোর আই ৩ ২.৯৩ গি.হা. ৯০০০ টাকা কোর আইথ্রি ৩.০৬ গি.হা. ৯৮০০ টাকা। পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর ২.৯৩ গি.হা. ৬৩০০, পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর ২.৭ ৫২০০ টাকা পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর ২.৭ গি.হা. ই ৫৪০০, ৫০০০ টাকা। ইন্টেল কোর টু কোয়াড ৮৪০০- ১৩২০০ টাকা; ২.৬৬ গি.হা. ১৩০০০ টাকা। ইন্টেল কোর টু ডুয়ো কেরাজ ই ৭৫০০ ২.৯৩ গি.হা. ৮৬০০ টাকা। মাদারবোর্ড: ইন্টেল ডিপি ৫৫ ডব্লিউবি এলজিএ ১১৫৬ (ডিডিআরএ) ৯৫০০ টাকা, ইন্টেল ডিএইচ ৫৫ এইচসি ৯৮০০ টাকা। গিগাবাইট এইচ ৫৫-এমএইচটুএইচ (ডিডিআর ৩) ৮০০০ টাকা। ইন্টেল ডিজি৪৫ এসজি ১১০০০ টাকা, ইন্টেল ডিজি ৪৫আইডি ৮২০০ টাকা। ডিজি৪১আরকিউ ৪৪০০ টাকা। ৪১টিওয়াই ৫৬০০ টাকা। ইন্টেল ৪৩জিটি ৬৭০০ টাকা। গিগাবাইট জি ৪১ ইন্টেল টিপসেট ৪২০০ টাকা। আসুস জি ৪১ ৪১০০ টাকা। র‌্যাম: ২ গি.বা. ডিডিআর ২- ৩৮০০ টাকা। ১ গি.বা. ডিডিআর টু ১৯০০ টাকা; ২ গি.বা. ডিডিআর ৩ ৪০০০ টাকা। হার্ডডিস্ক ড্রাইভ: ১৬০ গি.বা. (৭২০০ আরপিএম) ২৯০০ টাকা। ৩২০ গি.বা. ৩৩০০ টাকা। ৫০০ গি.বা. ৪০০০ টাকা। ১ টেরাবাইট ৭০০০ টাকা। পেনড্রাইভ: ২ গি.বা. ৫৫০ টাকা; ৪ গি.বা. ৮০০ টাকা; ৮ গি.বা. ১৩০০ টাকা। এলসিডি মনিটর: স্যামসাং ১৫.৬" ৭৭০০ টাকা। ফিলিপস ১৮.৫" ৮৮০০ টাকা; ডেল ১৮.৫" ৮৮০০ টাকা। স্যামসাং ১৮.৫" ৯৩০০ টাকা। এলজি ১৮.৫" ৮৩০০ টাকা। এইচপি ১৮.৫" ৯২০০ টাকা। স্যামসাং ২১.৫'' ১২১০০ টাকা। গ্রাফিকস কার্ড: গিগাবাইট জিভি ১ গি.বা. ৯৫০০ জিটি ৪৭০০ টাকা। গিগাবাইট পিসিআই এক্সপ্রেস ১ গি.বা. ৯৫০০ জিটি ৪৪০০ টাকা। স্যাফায়ার (এইচডি ৪৮৩০) ৫১২ মে.বা. ২৯০০, এইচডি ৩৪৫০ ৫১২ মে.বা. ২৯০০ টাকা। পিসিআই এক্সপ্রেস ৪৫৫০ এইচডি ৫১২ মে.বা. ৪৮০০ টাকা, এক্সএফএস এক্সপ্রেস ১ গি.বা জিএফ ৯৪০০ জিটি ৪৩০০ টাকা। ফক্সকন জিফোর্স পিসিআই ১০,৫০০ টাকা। ডিভিডি রাইটার/রি-রাইটার: সামসাং ৫২X২৪X৫২এক্স ১৮০০ টাকা এবং আসুস ৫২X৩২X৫২এক্স ২২০০ টাকা, সনি ডিভিডি-আরডব্লিউ ১৯০০ টাকা। ডিভিডি-রম ড্রাইভ: আসুস ১৮এক্স ১,৪০০ টাকা, ১,৩৫০ টাকা এবং বেনকিউ ১৬ এক্স ১৩৫০ টাকা। কেসিং: ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকা। মাউস: ১০০ থেকে ৯০০ টাকা। কিবোর্ড: সাধারণ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। মাল্টিমিডিয়া ৬০০ টাকা। স্পিকার: ক্রিয়েটিভ ইনস্পায়ার (৫: ১) ৫৩০০ টাকা, (৭: ১) ৯৮০০ টাকা, (৪: ১) ৪৫০০ টাকা, (২: ১) ২৭০০ টাকা। মাইক্রোল্যাব (২: ১) ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা, (৫: ১) ৪৫০০ টাকা, ক্রিয়েটিভ এসবিএস (এ৩০০) ২৫০০ টাকা, ডিলাক্স ২:১ ১৭০০। জিপিআরএস মডেম: আসুস ইউএসবিটি ৭১০০ টাকা, মবিডাটা ৩৫০০-৪২০০ টাকা (ইউএসবি)। হ্যান (ইউএসবি) ৩২০০ টাকা। টিভিকার্ড: এভারমিডিয়া এক্সটারনাল (ইউএসবি) ৪২০০ টাকা ও ইন্টারনাল ৩২০০ টাকা, গেডমি (ইউএসবি) টিভিকার্ড ২২০০, রিয়ালভিউ এক্সটারনাল (এলসিডি) ২২০০ টাকা ও গেড মি (এলসিডি) ২২০০ টাকা। কে-ওয়ার্ল্ড ২৭ টাকা। প্রিন্টার: ক্যানন পিক্সমা আইপি ২৭০০ ৩১০০ টাকা, এইচপি ১৬৬০ ডেস্কজেট ২৬০০ টাকা, এপসন সি ৫৯ ৩৩০০ টাকা, এইচপিসি পি (লেজার) ১০০৫, ৯২০০ টাকা; লেক্সমার্ক ই ১২০এন ৬৫০০ টাকা, ব্রাদার এইচএল ২১৪০-৭৫০০ টাকা, লেক্সমার্ক অল ইন ওয়ান এক্স ২৬৫০-৪৫০০ টাকা। এমএফসি ৭৩৪০ থেকে ২৩৫০০ স্যামসাং এমএল ১৬৪০ (লেজার) ৫৫০০। ডিজিটাল ফটোফ্রেম: ট্রানসেন্ড ৮৫০০, জিনিয়াস ৭৫০০ টাকা। পোর্টেবল হার্ডডিস্ক: ট্রানসেন্ড (২৫০ গি.হা) ৫১০০ টাকা, (৩২০ গি.হা) ৫৬০০ টাকা, (৫০০ গি.হা) ৮০০০ টাকা, (১ টি বি) ২০৫০০ টাকা। ইউপিএস: ৬৫০ ভিএ ২৫৫০ টাকা, ৮০০ ভিএ ৩০০০ টাকা, ১২০০ ভিএ ৫২০০ টাকা, ২ কেভিএ ১০৫০০ টাকা। রেডফক্স ৬৫০ভিএ ২৮০০ টাকা। অ্যান্টি ভাইরাস: নরটন সিঙ্গেল ইউজার (ইন্টারনেট সিকিউরিটি) ১১০০ টাকা। ক্যাসপারস্কি সিঙ্গেল ইউজার ১১০০ টাকা। —সংগ্রহ: তারিকুর রহমান খান
এখানে শুধু যন্ত্রাংশের দাম দেওয়া হয়েছে। পুরো কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রে যন্ত্রাংশ সংযোজন খরচ ও সার্ভিস চার্জ যুক্ত হবে।

Saturday, June 26, 2010

Fans gather for Michael Jackson death anniversary

Fans gather for Michael Jackson death anniversary

Fifa World Cup 2010, Spain book Portugal date

Pretoria, June 25 (bdnews24.com/AFP) -- David Villa took advantage of a blunder by goalkeeper Claudio Bravo and also set up an Andres Iniesta goal to give Spain a spot in the World Cup last 16 on Friday with a 2-1 victory over 10-man Chile.

Reigning European champions Spain, trying to avoid joining Italy and France on the World Cup scrapheap after an opening loss to Switzerland, won Group H on two wins and six points, edging Chile on superior goal difference.

The Swiss played a goalless draw with Honduras and fell short on four points.

Spain booked a date with Portugal on Tuesday in a last 16 match at Cape Town while Chile will meet five-time champions Brazil on Monday at Johannesburg's Ellis Park.

"The match against Portugal will not be easy," said Spain coach Vicente del Bosque.

"But we are progressing. Fernando Torres played 60 minutes, Iniesta felt fine. We are in good shape. We are under a lot of pressure but we know this by living in Spain."

The Spaniards went ahead in the 24th minute when Villa scored his third goal of the tournament, matching the overall World Cup scoring lead.

Xabi Alonso launched a long pass upfield to the onrushing Fernando Torres with Bravo racing off his line to reach the ball first.

But the ball deflected into the path of uncovered Villa and the new Barcelona striker chipped it back from 40 yards into the open goal as Chile captain Bravo looked on in horror.

In the 37th minute, Villa set up Iniesta and the Barcelona playmaker scored from just inside the area.

Mexican referee Marco Rodriguez sent off Chile midfielder Marco Estrada seconds after the goal, having seen him trip Torres in the build-up to the goal.

But 10-man Chile refused to quit.

Second-half substitute Rodrigo Millar pulled a goal back in the 47th minute, blasting a shot that deflected off the right knee of defender Gerard Pique and past helpless goalkeeper Iker Casillas.

Chile's Esteban Parades was ruled offside in the penalty area in the 80th minute to doom their last real chance.

The match was physical from the start, a crimson-clad crowd of nearly 42,000 roaring as Spain's Red Fury faced a South American side known as The Red.

Rodriguez made three other bookings against Chile in the first 21 minutes, ensuring defenders Gary Medel and Waldo Ponce will not play against Brazil.

For Details: Bdnews24.com

Wednesday, June 23, 2010

share

share

World Cup Summary 1930 to 2006

Fifa World Cup Short History:

বিশ্বকাপ নিয়ে মানুষের পাগলামির শেষ নেই। বাড়ি, গাড়ি থেকে শুরু করে মানুষ তার শরীর পর্যন্ত ঢেকে ফেলছে প্রিয় দলের পতাকায়। নিশ্চই তুমিও ঠিক করে ফেলেছো যে প্রিয় দলটির একটা পতাকা না কিনলেই নয়!

সারা বিশ্বই এখন উত্তেজনা আর অপেক্ষার আগ্রহে কাঁপছে। সেই ১৯৩০ সাল থেকে শুরু করে ২০০৬ পর্যন্ত ১৮ টি বিশ্বকাপের প্রতিটিই পৃথিবীর মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করেছে উন্মাদনা। কাজেই ২০১০ সালেও ১৯তম বিশ্বকাপে যে মাতামাতি হবে, আর এমন কি? মানুষের মাতামাতির কি শেষ আছে? যেমন দল নিয়ে, তেমনি প্রিয় খেলোয়াড়কে নিয়েও চলছে এই উন্মাদনা।
MulRochona2705_logo.gif
সেই ১৯০৪ সালের কথা, ফিফার (FIFA- Fédération Internationale de Football Association) জন্ম হয়েছে কেবল, তখনও কিন্তু বিশ্বকাপ শুরু হয়নি। তবে ফিফার চিন্তা ছিলো, একদিন বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। অনেকদিন পর, ১৯৩০ সালে প্রেসিডেন্ট জুলে রিমে (Jules Rimet)  সময়ে, সে আশা বাস্তবে পরিণত হলো। উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত হলো পৃথিবীর প্রথম বিশ্বকাপ। আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলো ইউরোপের চারটি দেশ, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, রোমানিয়া এবং যুগোকস্লাভিয়া। এছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার টি এবং উত্তর আমেরিকার টি দেশ সহ মোট ১৩ টি দেশ অংশ নিয়েছিলো এতে। প্রথম ম্যাচ হয়েছিলো ফ্রান্স মেক্সিকোর মধ্যে। যাতে ফ্রান্স - গোলে পরাজিত করে মেক্সিকোকে। বিশ্বকাপের প্রথম গোলটি দিয়েছিলেন ফ্রান্সের লুসিয়েন লরেন্ট (Lucien Laurent) প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলো, উরুগুয়ে আর আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ের রাজধানী মন্টিভিডিও তে এস্তাদিও সেন্তেনারিও (Estadio Centenario) স্টেডিয়ামে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে - গোলে হারিয়ে জিতে নিয়েছিলো প্রথম বিশ্বকাপের ট্রফিটি।
MulRochona2705_Muscot.gif
মাঝখানে কয়েকবছর অবশ্য বিশ্বকাপ হয়নি। এর কারণ হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সারা পৃথিবীর যুদ্ধকালীন অবস্থায় ১৯৪২ এবং ১৯৪৬ সালে আর বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু সকল মেঘ কাটিয়ে ১৯৫০ সাল থেকে আবার শুরু হয়েছিলো বিশ্বকাপের মনমাতানো আসরটি। এরপর থেকে নিয়মিত বছর পর পর অনুষ্ঠিত হতে থাকে বিশ্বকাপ ফুটবল।

বিশ্বকাপ ফুটবলের বর্ণিল ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলতে শুরু করলে শেষ কবে হবে বলা যায় না। তাই তো আজ তোমাদের সঙ্গে গত দশটি বিশ্বকাপের গল্প করবো। চলো শুরু করি।


রঙীন পর্দায় বিশ্বকাপ
MulRochona2705brazil_1970.gif
১৯৭০ সালেই প্রথমবারের মতো মানুষ টেলিভিশনের রঙীন পর্দায় খেলা দেখার সুযোগ পায়। সারা পৃথিবীতে সেই সময় প্রায় এক কোটি মানুষের সামনে রঙীন খেলা সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে অবশ্য ১৯৫৪ সাল থেকে সাদাকালো পর্দায়ই খেলা দেখেছে মানুষ। শুধু তাই না, প্রথম হলুদ বা লাল কার্ডের প্রচলনও হয় এই বিশ্বকাপেই। নিয়ম করা হয় প্রতিটি দল এক ম্যাচে দুজন করে বদলি খেলোয়াড় খেলাতে পারবে। মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল - গোলে হারিয়েছিলো ইতালিকে। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপে পেলে আঘাত পাবার পর সবাই ভেবেছিলো পেলে বুঝি আর খেলতে পারবেন না। সব অনুমান আর ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে এই বিশ্বকাপে পেলে আর ব্রাজিলের দৃষ্টিনন্দন ফুটবল শৈলী, সারা পৃথিবীর মানুষের মনে দাগ কেটে গিয়েছিলো। ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের আক্রমণভাগকে সর্বকালের সেরা বলে আখ্যায়িত করা হয়। ১৯৭০ সালেই প্রথম দল হিসেবে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল আর এরই স্বীকৃতি-স্বরূপ ব্রাজিলকে এই বিশ্বকাপ ট্রফিটি একেবারেই দিয়ে দেয়া হয়। সাধারণত একবার বিশ্বকাপ জেতার পরে একটি দল চার বছরের জন্য, অর্থা পরবর্তী বিশ্বকাপ না হওয়া পর্যন্ত ট্রফিটি রাখার সুযোগ পায়।
 

নতুন ট্রফির বিশ্বকাপ
MulRochona2705_germany_1974.gif
১৯৭০ সালের চার বছর পর ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়েছিলো পশ্চিম জার্মানিতে। এর আগের বার যেহেতু ট্রফিটি একেবারেই দিয়ে দেয়া হয়েছিলো ব্রাজিলকে, এবারে তাই নতুন করে কাপ তৈরির প্রয়োজন পড়ে। এই ট্রফির নাম দেয়া হয়ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি (FIFA World Cup Trophy)” তাহলে আগেরটার নাম কি ছিলোআগের ট্রফির নাম ছিলো, “জুলে রিমে ট্রফি (Jules Rimet Trophy)” এর নাম দেয়া হয় ফিফার প্রেসিডেন্ট জুলে রিমে নামে, যার সময় থেকে বিশ্বকাপ খেলা শুরু হয়েছিলো। এই বিশ্বকাপের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানি নেদারল্যান্ডকে - গোলে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপ জিতে নেয়। নেদারল্যান্ড ছিলো সে সময়কার ফেভারিট। ফাইনাল খেলায় জার্মানিকে নিয়ে ডাচরা ইঁদুর-বেড়াল খেলা শুরু করে দিয়েছিলো। কিন্তু অধিনায়ক ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের অসাধারণ নৈপুণ্যে জার্মানি এই অসাধ্য সাধন করে।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়
MulRochona2705argentina.1978.gif
১৯৭৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে ট্রফির খুব কাছ থেকে ফিরে আসতে হয়েছিলো নেদারল্যান্ডকে। সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিলো রানার-আপ হয়েই। ১৯৭৮ সালে তাদের প্রতিজ্ঞা ছিলো বিশ্বকাপ জিতেই ঘরে ফেরার। কিন্তু বাস্তবে তা আর হলো না। আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপের ফাইনালে তাদের আবারও বিদায় নিতে হলো রানার আপ হয়েই। কে তবে নেদারল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিলো? প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ জিতে এই কাজটি করেছিলো আর্জেন্টিনা। খেলায় প্রথমে - গোলের সমতাই ছিলো, পরে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা। অতিরিক্ত সময়ে দুইটি গোল করে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার মারিও কেম্পেস ফাইনালে দুই গোল করেছিলেন। এতে তার পুরো বিশ্বকাপে গোল সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছিলো ছয় এ। কেম্পেস পেলেন গোল্ডেন বুট আর আর্জেন্টিনাকে - গোলের জয় এনে দিলেন নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে।

MulRochona2705_Italy_1982.gif
পাওলো রসি বিশ্বকাপ

১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের পুরোটুকুই একজনের সাফল্যের গল্প। তিনি হলেন পাওলো রসি। শোনো তবে সেই গল্প। স্পেনে হয়েছিলো এই বিশ্বকাপ। দুই বছর ম্যাচ পাতানোর দায়ে নিষিদ্ধ থাকার পর ইতালির মূল দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন পাওলো রসি। পাওলো রসিই পুরো বিশ্বকাপে ছয় গোল করে ইতালিকে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালে। সেই ১৯৩৮ সাল থেকে ৪৪ বছর পর পশ্চিম জার্মানিকে - গোলে হারিয়ে এই বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিলো ইতালি। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা আর পশ্চিম জার্মানির মত বিশ্বকাপ জেতা দলকে হারিয়ে সেরা হওয়া কিন্তু যে সে ব্যাপার না। আর পুরো বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলা দেখিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি এবং সবচে বেশি গোল করার জন্য গোল্ডেন বুট পেয়েছিলেন রসি। ইতালিও এই বিশ্বকাপ জিতে তিনবার বিশ্বকাপ জেতা দল ব্রাজিলের সমান হয়েছিলো। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে খেলেছে ২৪ টি দল। ১৯৩৪ সালের পর থেকে এর আগের বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলে এসেছে ১৬ টি দল
ফুটবলের ঈশ্বর
MulRochona2705_argentina_1986.gif
১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাগতিক দেশ মেক্সিকো। এই বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনার ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে চিনলো সারা পৃথিবীর মানুষ। ট্যাকল আর ড্রিবলের অসাধারণ শৈল্পিক কারুকাজ তাকে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রিয় করে তুললো। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় ম্যারাডোনার একটি গোল নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে আজ অব্দি। সেই গোলটির সময় ম্যারাডোনার হাত লেগে যায় বলে। প্রকৃত অর্থে যা হ্যান্ডবল। কিন্তু রেফারি তা দেখতে না পাওয়ায় হ্যান্ডবল হিসেবে তা ধরা হয়নি। ফলে গোল হয়ে যায়। এই হাতটিকে পরে ম্যারাডোনা নিজেই ঈশ্বরের হাত বলেছেন। তবে তার অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের কারণে পৃথিবীর মানুষ তাকে ভালোবেসে নাম দিলেন ফুটবলের ঈশ্বর। সেবার ম্যারাডোনা পেয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি। ফাইনালে আগের বারের ফাইনালিস্ট জার্মানিও ছিলো। কিন্তু ম্যারাডোনার অসাধারণ নৈপুণ্যে এই বিশ্বকাপের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে - গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপটি নিজেদের করে নেয় আর্জেন্টিনা।
MulRochona2705_Germany_1990.gif
প্রতিশোধের বিশ্বকাপ

ইতালি দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করে ১৯৯০ সালে। এর আগের দুই বিশ্বকাপে জার্মানিকে রানার-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিলো। এই বিশ্বকাপটি ছিলো তাদের জন্য অনেক আশার। ভাগ্যের ফেরে ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে সেই আর্জেন্টিনাকেই পেয়ে গেলো জার্মানি। বিশ্বকাপটি হয়ে গেলো তাদের জন্য প্রতিশোধের বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনাকে - গোলে হারিয়ে একদম মোক্ষম জবাবটি দিয়ে দিলো জার্মানি। নিয়ে নিলো চার বছর আগের প্রতিশোধ। ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের জন্যও বিশ্বকাপটা হয়ে থাকলো স্মরণীয়। এর আগে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে, এবার নিলেন কোচ হিসেবে। এই বিশ্বকাপে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে ক্যামেরুন কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। তবে একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটে যায় এবার। চিলি আর ব্রাজিলের মধ্যকার খেলায়, চিলির গোলরক্ষক রোজাস তার গ্লাভসের মধ্যে রাখা ব্লেড দিয়ে নিজেই আহত হন। এটা ধরা পড়ার পর চিলিকে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ থেকে বাতিল করা হয়। আর রোজাস কে ১২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়


ইতালির দুঃখ, ব্রাজিলের হাসি
MulRochona2705_brasil_1994.gif
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজন করে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে আসে, গ্রিস, নাইজেরিয়া, নরওয়ে, সৌদি আরব রাশিয়া। তিন তিন বার বিশ্বকাপ জয়ী দুই দল ব্রাজিল ইতালি এবার ফাইনালে। কে জিতবে এই নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলে। যে জিতবে চার বার বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড তার। টান টান উত্তেজনার ফাইনালে প্রচুর দর্শক। সবাইকে অপেক্ষায় রেখে নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়  গোলশূণ্যভাবে। আরও ধৈর্য্যরে পরীক্ষা নিতে অতিরিক্ত সময়ও পার হলো, কিন্তু কোন দলই গোল পেলো না। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে খেলা। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ব্রাজিল টাইব্রেকারে - গোলে হারালো ইতালিকে। ইতালির দুঃখ নিয়েই শেষ হলো বিশ্বকাপ। সেরা খেলোয়াড় হন ব্রাজিলের রোমারিও। গোল্ডেন বুট পান সর্বোচ্চ গোলদাতা দুই জন, বুলগেরিয়ার রিস্টো স্টোইকভ এবং রাশিয়ার ওলেগ সালেঙ্কো।

এছাড়াও বেশ কয়েকটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটে এই বিশ্বকাপে। ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে নিষিদ্ধ করা হয় শক্তি-বর্ধক ড্রাগ নেয়ার দায়ে। কলম্বিয়ার খেলোয়াড় আন্দ্রেস এসকোবার, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী এক গোল করে কলম্বিয়াকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দেয়। এর ১০ দিন পরেই তাকে হত্যা করা হয়। তবে বিশ্বকাপে মনে রাখার মতো কিছু ঘটনাও আছে। বিশ্বকাপেই রাশিয়ার ওলেগ সালেঙ্কো ক্যামেরুনের বিপক্ষে এক ম্যাচে গোল করেন। বিশ্বকাপে এক ম্যাচে এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
MulRochona2705_france-98.gif
ফ্রান্সের স্বপ্নপূরণ

ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে প্রথম থেকে ফেভারিট দল ছিলো ব্রাজিল। ফেভারিট হিসেবেই তারা উঠে যায় ফাইনাল পর্যন্ত। সঙ্গী তাদের দারুণ ফর্মে থাকা রোনাল্ডো এবং গতবারের আত্মবিশ্বাস। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে যেনো অন্যকিছু ঘটে গেলো। ফ্রান্সের অধিনায়ক জিনেদিন জিদানের অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্রাজিলকে - গোলে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা পেলো ফ্রান্স। পুরো বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলা প্রদর্শনের জন্য রোনাল্ডো সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেও, ফাইনালে তিনি তেমন কিছুই করতে পারেন নি। এই বিশ্বকাপেই সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে এসেই তৃতীয় স্থান লাভ করে ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েশিয়ার ডেভর সুকার ছয় গোল দিয়ে গোল্ডেন বল পেয়ে যান।
ব্রাজিলের পেন্টা জয়
MulRochona2705_brasil_2002.gif
এতোদিন শুধু অন্য মহাদেশগুলোতেই বিশ্বকাপ হয়েছে। ২০০২ সালেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ায়। জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো এই বিশ্বকাপ।  এই বিশ্বকাপে বাছাই পর্বের খেলায় টোগোর খেলোয়াড় সুলেমান মামাম সর্বকণিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে আসেন। সুলেমানের বয়স কতো ছিলো জানো? মাত্র ১৩ বছর ৩১০ দিন। অবশ্য টোগো শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে পারেনি। এই বিশ্বকাপে জার্মানিকে - গোলে হারিয়ে জিতে যায় ব্রাজিল। এই কাপ জেতার ফলে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জয় করে নিজেদের এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায় ব্রাজিল। আগের বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্রিয়মাণ রোনাল্ডো এই বিশ্বকাপে ঠিকই তার নৈপুণ্যের পসরা খুলে ধরেন। গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কারটিও করে নেন নিজের
MulRochona2705_Italy_2006.gif

ইউরোপের বিশ্বকাপ

২০০৬ সালের বিশ্বকাপে পুরোটা সময় জুড়েই ছিলো ইউরোপের দেশগুলোর জয়জয়কার। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ। শেষ চারেও ছিলো ইউরোপের চারটা দেশ- ইতালি, ফ্রান্স, পর্তুগাল আর জার্মানি। পর্তুগালকে - গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলো জার্মানি। ফাইনাল হয়েছিলো ইতালি আর ফ্রান্সের মধ্যে। খেলা গড়ায় টাইব্রেকার পর্যন্ত। এর আগে ১৯৯৪ সালের ফাইনালে টাইব্রেকারে ব্রাজিলের কাছে হেরে গেলেও এবারে কিন্তু ইতালি আর ভুল করেনি। ফ্রান্সকে - গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নেয় তারা। ইতালির কোচ মার্সেলো লিপ্পি আর অধিনায়ক ফাবিও ক্যানাভারোর অনবদ্য অবদানেই চতুর্থ বারের মত শিরোপা লাভ করে ইতালি। সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পান জিনেদিন জিদান। আর সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন গোল করা জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা। এই বিশ্বকাপের ফাইনালে একটা মজার ঘটনা ঘটেছিলো। ফ্রান্সের অধিনায়ক জিনেদিন জিদান, ইতালির মার্কো মাতারাজ্জির বুকে মাথা দিয়ে গুতো দেবার কারণে শেষ দশ মিনিট মাঠের বাইরেই ছিলেন।

এবারের ১৯ তম বিশ্বকাপটি অনুষ্ঠিত হবে ১১ জুন১০ থেকে ১১ জুলাই১০ পর্যন্ত। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো কোনো আফ্রিকান দেশে বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এবার। ফিফার ২০৪ টা দেশের মধ্যে বাছাই পর্ব পার করে এসেছে ৩২ টা দল। মোট ৬৪ টি ম্যাচ হবে বিশ্বকাপে, যার মধ্যে গ্রæ পর্যায়েই হবে ৪৮ টি। কাজেই এখন দেখার অপেক্ষা কে জেতে এবারের বিশ্বকাপ। কাজেই খেলা শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গেই কোনো দেরি না করে বসে যাও খেলা দেখতে